যাযাবর মানুষেরা প্রথম যখন পশু পালন কিংবা চাষাবাদ করা শুরু করেছিল, তখন তাদের দৌড় একটু কমে যায়। মানে খাবারের জন্য আর হন্যে হয়ে ছুটতে হতো না। তো একটু একটু সুখ আসা শুরু করল সেই সভ্যতায়। সুখে থাকলে ভূতে কিলাবে। সেটাই সাভাবিক। তখন প্রথম চিন্তার ভূত মানুষের মধ্যে আসল। আমি কে? আমি কোথা থেকে এসেছি? আমি কোথায় যাব? বিশাল দার্শনিক ব্যাপার।
মানুষ ক্রমে সভ্য হতে থাকল। তারা সম্পদ চিনতে শিখল। প্রথমে প্রয়োজনীয় পরে অপ্রয়জনীয়। সোনা দানা, মনি মানিক্যের প্রতি একটু অনুরাগ চলে আসল। ট্রেডিং করার জন্য ভালো মাধ্যম। তো চতুর মানুষেরা, পুঁজিবাদি মানুষেরা মানুষের এই সব সম্পদকে কাগজের টাকায় রূপান্তরিত করে ফেলল। বিনিময়ে সম্পদ গুলো নিয়ে গেল। এরপর… সৈয়দ হকের কবিতা থেকে বলি… “নষ্ট ক্ষেত, নষ্ট মাঠ, নদী নষ্ট, বীজ নষ্ট…. ” তারা আমাদের জমি নষ্ট করল, আমাদের বীজ নষ্ট করে বীজের মালিক হয়ে গেল। আমাদের নদী নষ্ট করে ফেলল।
সভ্যতার শুরুতে যে বিষয় গুলো করতে হতো, এখনো করছি। শুধু সব নষ্ট হয়ে গেছে। হায় পুঁজিবাদ! হায় সাম্রাজ্যবাদ! ক্রিতদাস প্রথা নেই অথচ কী সুন্দর ভাবে আমরা ক্রিতদাস হয়ে বেঁচে আছি। ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখে সর্টকাট চিন্তা করছি!
আপনি কি জানেন, আমাদের দেশের কৃষকরা কী পরিমান মূল্য দিয়ে বীজ কিনে?