উদ্ভট সব সত্যের সামনে আমরা আজ. আমরা সবাই বলছি ৪২ বছর অপেক্ষা করেছি আমরা, কেউ বিচার করেনি. মজার বিষয়টি দেখুন:
১৯৭১-১৯৭৫ : আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন এবং আজকের সব চিন্হিত যুদ্ধাপরাধীরা সকলেই তখন আত্মগোপনে ছিল.
১৯৭৫: আমরা হারালাম সকল আশা ভরসার জায়গা, হত্যা করা হলো বঙ্গবন্ধুকে.
১৯৭৫ – ১৯৯৬: বহুদলীয় গণতন্ত্রের নাম বাংলাদেশে ওরাই ফিরে এলো, রদ করা হলো ট্রাইবুনাল. প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে শুরু করে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা পেল ওরা সর্বত্র.
১৯৯৬ – ২০০১: জোড়াতালির সরকার ম্রিয়মান গলায় কথা বলা ছাড়া খুব বেশি কিছুই করতে পারেনি.
২০০১-২০০৬: রাজাকাররা মন্ত্রী হয়ে দেশের পতাকায় ওদের নোংরা মুছলো.
২০০৬-২০০৮: অরাজনৈতিক সেনা সমর্থিত সরকার অনেক কথা শোনালো অনেক কাজেও হাত বাড়ালো, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার?? করলনা করলনা!!
২০০৯: আবার ফিরে এলো ট্রাইবুনাল ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো.
২০১৩: রায়-ও ঘোষিত হলো অভিযুক্তদের বিপক্ষে, যার মধ্যে একটি রায় আমরা কেউই মানতে পারিনি. শুরু হলো গণজাগরণ, সরকারও দাড়ালো পাশে, যারা সবসময় দূরে ছিল, বিরোধীপক্ষে ছিল তারা দূরেই থাকলো বিরোধিতায় করলো.