এবার আসলেই একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটা বলার আগে

এবার আসলেই একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটা বলার আগে আমি একটু ভূমিকা করে নেই। ভূমিকা না করলে ঠিক লেখাটা জমে না। আমি একটু জমানোর চেষ্টা করব। (ভয় নেই। ডিপ ফ্রিজে কিছু রাখব না)
প্রায় আড়াই বছর আগে আমি প্রথম টিভির জন্য চিত্রনাট্য লিখি। পরিচালক মেহের আফরোজ শাওনের জন্য। অনেকটা নাটকীয় ভাবেই শুরু। কেউ একজন একটা চিত্রনাট্য করে দিয়েছেন আমি সেটা দেখে বলেছিলাম আমি করে দেই। এর থেকে ভাল হবে। সেই থেকে শুরু। এরপর দীর্ঘ সময়ে অনেক গুলো নাটকের চিত্রনাট্য করি। সিনেমার চিত্রনাট্য করি। নিজে আমি সিনেমার পোকা। ক্যামেরাগিরি করি তাই বিষয়টা একটু আধটু ভালোই বুঝি। শাওনের প্রতিষ্ঠান লীলাচিত্রের সাথে সম্পর্কের কারনে প্রায় সময় বিভিন্ন শুটিং এ হাজির হই।
এবার কুরবানি ঈদের একটা নাটকের শুটিং এ যাচ্ছি। গিয়ে জানা গেল যে একজন আর্টিস্ট শর্ট পরেছে। এবং সেই সুবাদে জীবনের প্রথম অভিনয়। (এ গল্পটা আগেও করেছি)
জীবনের প্রথম অভিনয় করার পর আমার মা’কে ফোন করলাম। বললাম মা আমি তো অভিনেতা হয়ে গেলাম। জীবনের প্রথম নাটকে অভিনয় করেছি। মা শুনে বললেন “ভেরি গুড। এইটাই শুধু বাকী ছিল। এবার একটা কাজ কর। তোর কবিতা গুলো সব একখানে করে একটা বই বের করে ফেল”। আমি একটা সিকোয়েন্স অভিনয় করলাম, ঘাবরাই নি। কিন্তু এবার ঘেমে যাওয়া অবস্থা।
এই বাংলার মায়েরা বড় অদ্ভুত প্রাণী। সন্তানের যেকোন সাফল্য বা ভালো কিছুতে মায়েরা অনেক বেশী আহ্লাদিত হন। সব মায়েরাই হয় আমার ধারনা। তবে বাংলার মায়েদের আশা বড় মায়ার বিষয়। সন্তানদের জন্য আশা কখনো ছাড়েন না।
গত কয়েকদিন থেকে দেখছি একজন মা তার সন্তানের একটা প্রাপ্তিতে অনেক খুশি। আসলে জননেত্রী শেখ হাসিনা আর আমার মা লুৎফুন নেছা’র মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এই বাংলার মা’দের সব আশা পূরণ হোক।

Related posts

আজকে আবার বৃষ্টি এলো, এই শহরে

হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২২

Parsha Jenifa

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Read More