কুহক

শুক্রবার মানেই দুপুর বেলা ঘুম থেকে জাগা। কী সুন্দর বলে ফেললাম জাগা! এই উপমহাদেশের বেশীরভাগ মানুষের ভাষাতেই জাগরণের কথাটা প্রায় একই। অথচ খুব কৌশলে জনপ্রিয় করে তুলেছি উঠা, ভাঙা প্রভৃতি শব্দকে। আমি শতভাগ কবি। অনেক আগেই বলেছি যে মানুষ একটি মাত্র শব্দকে ভালোবেসে একটা আহা শব্দ মনে মনে ভাবলেই সে কবি। তা সে কবিতা লিখুক আর নাই লিখুক। এই যে আয়েশ করে ইয়েলো ক্যাফেতে বসে কফি খেতে খেতে জাগো বা জাগরণ নিয়ে ভাবছি। এই ভাবনা অনেক ভালোবাসা থেকেই।
বিগত বেশ কিছু দিন থেকে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ডেইলি স্টার এবং কুহক নিয়ে। ডেইলি স্টারের ব্যস্ততা পদ্ধতিগত কিন্তু কুহকের ব্যস্ততা অমায়িক। অমায়িক হলেও হাতে মাইক নিয়ে এখন কিছু লোক খুঁজছি। কুহক বাংলা ভাষায় ফোর-কে কন্টেন্ট এর নতুন মাধ্যম। বা বলতে পারেন নেটফ্লিক্সের বাংলা ভার্সন। কুহকের জন্য এখন তরুণ, কর্মঠ এবং সৎ দশজন চলচ্চিত্র পরিচালক নির্বাচনে ব্যস্ত আমি। উদ্দেশ্য দশজন পরিচালক কে দিয়ে দশটি প্রজেক্ট করানো। এই দেশে পরিচালক পাওয়া সহজ কিন্তু লাইন প্রডিউসার পাওয়া কঠিন। এই লাইন প্রডিউসারের সন্ধানে অমায়িক ভঙ্গিতে অনেককেই অনুরোধ করতে হচ্ছে। যেহেতু সকল প্রজেক্ট আমাদেরই প্রযোজনায়, তাই লাইন প্রডিউসার ছাড়া আমরা অচল।
প্রতিদিন ইয়েলো ক্যাফেতে বসছি। এটা এক ধরণের ক্যাম্প অফিস আমার। এখানেই মিটিং সব করছি। বাসার কাছে তাই আমার সুবিধা অনেক। তবে আজকে ছুটি।
আজকে ইয়েলো ক্যাফেতে শুধু বসে আছি। নিজের জন্য। কফি খাচ্ছি আর একটা শব্দ নিয়ে ভাবছি।

প্রতিটা শব্দের মালিকানার দায় নিয়ে
লিখে চলেছি প্রতিদিন
এক একটা শব্দের প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে
পূর্বপুরুষদের সান্নিধ্য পাই-
চেয়ে দেখ এ আঙুলগুলো
আমার নিজের থেকে বেশী আলোকিত
অদ্ভুত অন্ধকারে জাগি আমি
উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো
আঙুলে আঙুলে তারকার জন্ম দেখি।

**//** ইয়েলো ক্যাফে, ধানমন্ডি, ঢাকা।

Related posts

A gift from my brothers

No-Dorai Team

The Inner Light