গত পরশু সন্ধ্যা সাতটায় আমার ছিনতাইয়ের ঘটনা

ভেবেছিলাম কাউকেই বিষয়টা জানাব না। কিন্তু গত দিনের পর আজকে বিমূঢ়তা অনেক কেটে গেছে। তাই বলছি। যাতে আপনারাও সাবধান হতে পারেন।
আমার বাসা লালমটিয়ায়। মাত্র বাংলাদেশের জয়ের আনন্দটা সামলে নিয়েছি। মন বেশ ভালো। তাই ভাবলাম একটু আজিজ মার্কেট থেকে ঘুরে আসি। কি্ছু বইও কেনা প্রয়জন। বের হলাম। অনেক্ষন ধানমন্ডি ২৭ এ দাড়িয়ে থাকার পর এক সিএনজিকে ৫০ টাকা দিব বলে উঠে পড়লাম।
বাংলাদেশের জয়ের আনন্দে মন উড়ু উড়ু। সিএনজি যখন আলিয়নস ফ্রান্সিস এর সামনে সিগন্যালে আটকা পড়ল, তখন সিএনজি’র দুই পাশ থেকে দুইজন লোক উঠার চেষ্টা করছিল। আমি বাধা দিতেই চাকু’র মতোন ছোট দুইটা অস্ত্র ধরল আমার বুকে। তারপর যা হবার তাই হলো, সব নিয়ে গেল। এমনকি সামনের পকেটে আমার পাসপোর্টটা ছিল তাও গেল। মানিব্যাগে ছিল ১২০০০ এর মতোন টাকা সেটাও গেল। সাধের মোবাইলটা গেল। দুইটা ক্রেডিট কার্ড, দুইটা ডেবিট কার্ড গেল। এবং যাওয়ার আগ মুহূর্তে বোনাস হিসেবে দুই চোখে একগাদা বাম লাগিয়ে গেল। চোখের সেকি জ্বালা।
খুব দ্রুত বাসায় এসে সিএনজিওয়ালাকে ভাড়া দিলাম। এবং বাসার ফোন থেকে একে একে ফোন এবং ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডগুলোকে ব্লক করালাম। ফোনটা ব্লক করার আগে ডায়াল করলাম আমার নিজের নাম্বারে, দেখি ওয়েটিং। হায়রে সাহস। আমার ফোন নিয়ে আবার কথাও বলছে। কোন কেয়ারিং ভাব নাই। যেখানে তার লাস্ট ডায়াল নাম্বার থেকে অনায়াসে তাকে সনাক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু দেশের সিস্টেম তা করবে না। অন্তত RAB আমাকে তাই বলল। তারা বলল চাঞ্চল্যকর কোন কিছু ছাড়া এই কাজ ওনারা করেন না।
যাই হোক, আপনারা পারতপক্ষে একা একা সিএনজি তে উঠবেন না। খুবি ডেঞ্জারাস বস্তু এই সিএনজি।

Related posts

Brothers and Sisters

আলোকচিত্রায়ন বস্তুর চিত্রায়ন নাকি বস্তুর উপর আলোকচিত্রীর চিন্তার পরিবেশন?

যদি বলি প্রেমে পরেছি অথবা পরেছে সে!