জীবনটা খারাপ না। মানে এই মুহূর্তে খারাপ লাগছে না। অনেক কষ্টে এবং ত্যাগের বিনিময়ে আমার নতুন বাসাটা এখন একটু ভদ্রস্থ হয়েছে। এখনো অনেক কিছু গোছানো বাকী তবে এই অবস্থায় এটাকে কেউ অগোছালো বলতে পারবে না আর। এই যে এখন আরাম করে শুয়ে শুয়ে গান শুনছি, বেশ আরামের একটা ব্যাপার। মনে হচ্ছে আয়েশ করে একটা বিড়াল আমার কোলে শুয়ে গরগর করছে আর আমি হাত বুলাচ্ছি তার মাথায়। আর গান বাজছে। সমস্যা হলো আমি বিড়াল পালতে পারব না। একা থাকার এটা একটা সমস্যা।
এখন মানবেন্দ্র গাইছে কেউ ভোলে না কেউ ভোলে। এই রাতের নজরুলের মতো কঠিন বিষয় কেন শুনছি জানি না। নজরুলকে আস্তিক বা নাস্তিক হিন্দু বা মুসলিম কেউই হজম করতে পারে না আবার ফেলতেও পারে না। ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়। তবে দিনে দিনে আমার জীবন ওমর খৈয়ামের বর্ণনার মতো হয়ে যাচ্ছে।
“এইখানে এই তরুর তলে
তোমার আমার কৌতুহলে,
যে ক’টি দিন কাটিয়ে যাবো প্রিয়ে-
সঙ্গে রবে সুরার পাত্র
অল্প কিছু আহার মাত্র
আরেকখানি ছন্দ মধুর কাব্য হাতে নিয়ে”
— ওমর খৈয়াম
পার্থক্য হলো এগুলোর পাশে ভাল একটা মিউজিক সিস্টেম আর প্রচুর গান লাগবে। তাও করে ফেলেছি। আহা জীবন। জীবন আসলেই সুন্দর।
আমার জুনিয়র বন্ধু বাহিনীকে ধন্যবাদ। বাসাটা আমি আসলেই গোছাতে পারতাম না।