ভাববেন না যে সামনে বইমেলা, তাই এমন হাহাকার

সকল স্বপ্নের সমাধিস্থল হলো ফেসবুক। যা করার কথা ছিল, তা না করার বেদনার কেন্দ্র ফেসবুক। বড় লেখার অভ্যাস দিনে দিনে ছোট হয়ে যাচ্ছে। যা লিখছি, ইন্সট্যান্ট ফিডব্যাক পাচ্ছি। এই ইন্সট্যান্ট লেনদেনের যুগে শিল্প বলি আর সাহিত্যই বলি কেমন যেন ওলটপালট লাগে।

একটু পর বলপয়েন্ট কিনতে যাব। কাগজের অভাব নেই। তারপরেও কাগজ কিনব। কম্পিউটারে আর লিখব না। প্রায় দুই যুগ কম্পিউটারে লিখলাম। এখন একটু খ্যান্ত দেই।

ভাববেন না যে সামনে বইমেলা, তাই এমন হাহাকার। আসলে নিজের ওপর বিরক্ত। অনেক লেখা মাথায়, লেখার আলসেমিতে ঘুমিয়ে আছে সব। প্রতিটা দিন যায়, স্বপ্নে থাকে আর একটা সকালের। ভাবখানা এমন, কোন একদিন একটা সকাল আসবে। জেগে উঠে যাদুর মতো সব ঠিক হয়ে যাবে। জগতের সকল আলসেমি দূর করে লিখব। আসলে কপালটাই খারাপ।

এই বাংলা ভাষার ওপর মায়টাও কাটাতে পারি না। প্রতিটা শব্দকে কেমন যেন আত্মীয়র মতো লাগে। আদর করে বসতে দিতে ইচ্ছে করে। আসন পেতে বসতে দিতে গেলেই আলসেমিতে উঠতে ইচ্ছে করে না। বড় কষ্ট।

**//** গ্রিন লিলি, ধানমন্ডি, ঢাকা।

**//** ছবিটা অফিসে তোলা। কয়েকদিন আগে মহান চিত্রগ্রাহক Shahrear Kabir Heemel দয়া করে তুলে দিয়েছিলেন।

Related posts

বাসার পাশেই দু’টি গ্যালারি

মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণী মারবে কেমন করে?

সামাজিক বিড়ম্বনা