ভোটার আইডি’র ডাটা এন্ট্রি অনেক সহজেই করা যায়! খরচ প্রায় শূন্য!!

আমার লেখার শিরোনাম দেখে অবাক হবেন না। আমি বাস্তব একটা সত্যের কথা বলেছি। এখন আমি ব্যখ্যা করব কেমন করে এটি সম্ভব:

-আমাদের দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে গড়ে ৫টা করে হাই স্কুল আছে। প্রায় প্রত্যেকটি হাইস্কুলে কম্পিউটারও আছে। এবং কম্পিউটার বিষয়ক একজন শিক্ষকও আছেন। আমরা যদি একটা স্ট্যান্ডার্ড ডাটাবেজ ডিজাইন করে ইউআই সহ প্রত্যেক স্কুলে দিয়ে দেই তাহলে খুব কম সময়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এই কাজ শেষ করা সম্ভব। এজন্য ইনিশিয়েটিভ হিসেবে অনেক কিছুই করা যেতে পারে।

-ভোটারদের ছবি সংগ্রহের জন্যও আমরা স্কুল/কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের ব্যবহার করতে পারি। অবশ্য এজন্য মোটামুটি মানের একটি ডিজিটাল ক্যামেরা দরকার হবে। যা খুব সহজেই স্কুল/কলেজ উন্নয়ন ফান্ড থেকে নেয়া সম্ভব। আশার আলো হচ্ছে বর্তমানে ডিজিটাল ক্যামেরার দাম অনেক কম।

-এভাবে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড ভিত্তিক ডাটা এন্ট্রির পর সেগুলোকে থানা পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের জন্য নেয়া হবে। সেখান থেকে ডেটাগুলোকে জেলায় পাঠানো হবে। জেলার দায়িত্ব হবে সেগুলোর আইডি ছাপানো। সরকার জেলা ভিত্তিক আইডি কার্ড (প্লাস্টিক আইডি) ছাপানোর মেশিন দিতে পারবে (খুব বেশি দাম নয়)। এই প্রক্রিয়া সবচেয়ে লাভবান হবে শিক্ষার্থীরা। পুরো প্রক্রিয়াকে যদি একটি প্রজেক্ট হিসেবে দেয়া যায় (ধরা যাক ৫০ মার্কস এর) সবাই আগ্রহ নিয়ে তা করবে। এতে কম্পিউটারের বাস্তব ব্যবহার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা তৈরি হবে। (আমি আর বেশী কিছু লিখতে পারছি না। পুরো বিষয়টা নিয়ে ভেবেছি অনেকদিন থেকে। কিন্তু অফিসে বসে আর বেশী কিছু লেখা সম্ভব নয়। কাজ আছে।)

Related posts

Brothers and Sisters

আলোকচিত্রায়ন বস্তুর চিত্রায়ন নাকি বস্তুর উপর আলোকচিত্রীর চিন্তার পরিবেশন?

যদি বলি প্রেমে পরেছি অথবা পরেছে সে!

1 comment

Jahangir March 31, 2009 - 5:57 pm
nice cho
Add Comment