শিল্পের গ্রহণযোগ্যতার সাথে গালাগালির একটা ভালো সম্পর্ক আছে। খুব ছোট বেলায় যখন ঠিকমতো পড়তেও শিখিনি, একটা গালি দিতে শিখেছিলাম ‘হামানের বাচ্চা’। এই হামানের বাচ্চা’র মানে কী এটা জানি না। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা গেল বাচ্চামহলে এটা একটা স্ট্যান্ডার্ড গালি হয়ে গেছে। কিছু হলেই হামানের বাচ্চা। আমার উদ্ভাবন করা গালি।
কয়েক দিন আগে চিত্রকর্মের বাজার বিষয়ক একটা ভিডিও দেখলাম ফেইসবুকে। কীভাবে গ্যালারি মালিকরা একজন আর্টিস্ট বা আর্টকে বাজারজাত করার জন্য তার কাজের প্রসংশাসূচক আলোচনা করায়। এই আলোচনা করে তাদের মদদপুষ্ট আর একটা গ্রুপ। এবং বছর না ঘুরতেই দেখা যায় সেই শিল্পী বিশাল শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছেন।
আমাদের দেশে গ্যালারিগুলো সেই অর্থে ক্ষমতাবান না। এই ক্ষমতা আছে কিছু পত্রিকার। সেই ক্ষমতায় প্রচুর আবর্জনাকে শিল্পী বা নির্মাতা হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। যেহেতু মিডিয়া এখন আমজনতার হাতে যাকে আমরা বলি সামাজিক নেটওয়ার্ক, তাই আমাদের এখন কাউন্টার এটাক হিসেবে কিছু গালাগালি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পদ্ধতি একই। আবর্জনাগুলোকে পাবলিকলি গালিগালাজ করা। যাতে তাদের প্রতিষ্ঠাতাগন বুঝতে পারেন আবর্জনা দিয়ে আর কাজ হবে না। পাবলিক এখন অনেক স্মার্ট।
শিল্পের গ্রহণযোগ্যতার সাথে গালাগালির একটা ভালো সম্পর্ক আছে।
4
previous post