আমার শৈশবের বিস্ময় এই মানুষটি। নাম: ইন্দ্র দেব, পেশা: মুচি।
গ্রামে তাকে ডাকা হয় "ইন্দ্রার দেও" নামে। যার অর্থ করলে দাড়ায়: ইন্দ্রা (কুয়া বা কুপ) এর দেও (দৈত্য)। বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রামের মূর্খ মানুষেরা বিপর্যয় করেছে নামটির। লোকটিকে আমার চির সুখী একজন মানুষ মনে হয়। যদিও জীবন অনেক বঞ্চনা দিয়েছে, বিপর্যয় নেমেছে তাতে। তবুও তাকে গান গাইতে শুনেছি কিছুদিন আগেও!
খুব যখন ছোট্টটি ছিলাম, তখন ইন্দ্রদেবের চুল পাকেনি। শরীরটাও কুঁজো হয়ে যায়নি। চোখ নষ্টতো দূরের কথা, ছানিও পড়েনি। সারাদিন দেখতাম জুতা শেলাই করছে! আবার বৃষ্টির দিনে নিজের বানানো অদ্ভুদ যন্ত্র বাজিয়ে গান গাইতে শুনেছি অনেক! আমি ওর ভাষা বুঝতাম না। অসমীয়া ভাষায় কথা বলতো। এখন কথা বুঝি।
এই ছবিটার নাম বাংলাদেশের প্রাণশক্তি দিলে অনেক ভালো হতো! এইযে ইন্দ্রদেব এখন সাইক্লপস্! খেতেও পারেনা ঠিকমতোন, তবুও ছবিতে সে হাসছে! আহা! কতদিন এমন হাসি দেখি না। খুব ইচ্ছে করে তার চোখের দিকে তাকিয়ে তার যে গল্পগুলোন জানি না, তা লিখে ফেলার! কবে যে চলে যাবে সে ইন্দ্রলোকে!