সারারাত ঘুমিয়ে কাটিয়েছি অনেকটা না ঘুমিয়েই। রাতের কথা আমি হয়তো অনেক বেশী’ই বলি; রাতগুলো অনেক বেশী অর্থবহ। বিনিদ্রজনেরা আমার আকুতি’র বিষয়টা অনেক সহজেই বুঝে যাবেন। কিন্তু যারা বিনিদ্র নয় তাদের স্বপ্নাতুর করার একটু ছো্ট্ট বাসনা।
অনেকগুলো সকালের মতোন আজকেও সকাল হলো একটা। সাভাবিক একটা সকাল। সাভাবিক তাপমাত্রা। চিরচেনা আমার চারপাশ। তবুও মনে মনে বললাম ‘আজ সকালটা অন্যভাবে শুরু হোক’। বুঝতে পারছি বুকভরা ভালোবাসা, বুকভরা কান্না অনেকদিন থেকে জমা হয়ে আছে। কিন্তু কার জন্য, কাহার জন্য বুঝতে পারি না। অনেক কিছু করার কথা ছিল, অনেক বেশী প্রতিশ্রুতি ছিল, কিছুই হয় নি। আজকে ঠিক করলাম বুকের ভালোবাসাগুলো সব বিলিয়ে দিব আর কষ্টগুলো আমার ব্লগে লিখে ফেলব ধীরে ধীরে। যেহেতু আজকের সকালটা শুধুই ভালোবাসার তাই ঠিক করেছি একবুক ভালোবাসা দিয়ে আমার অসমাপ্ত অন্তত একটা কাজ আজ শুরু করব।
আমি বড় হয়েছি ১০০ভাগ গ্রামে। আমার চারপাশটা ঠিক বৈষয়িক নয়; কিছুটা সরল কিছুটা প্রাকৃতিক ছিল। আমাদের গ্রামটি ছিল ছবির মতোন। সেই ছবির মতোন গ্রামে আমার বন্ধুরা, আমি বড় হতে থাকলাম। বন্ধুরা বড় হতে থাকলো পরিকল্পণাহীন কোন উদ্যানের গাছের মতোন। সময় চলে গেল, সময় চলেই যায়। দীর্ঘ ১৬বছর পর ফিরে তাকালাম আজকে সকালে। আমার চিরচেনা ছেলেবেলা, আমার দুরন্তপনা’র ডায়েরি সব কিছুই ধারাবাহিক আর্তনাদ করে উঠল। যে অরণ্যের স্বপ্ন দেখতাম একদল দুরন্ত কিশলয় তারা আজ ভূমিহীন বৃক্ষ। তাদের শেকড় রাখার স্থান নেই। আমার বন্ধুরা তোমরা এই দীর্ঘ ব্যবচ্ছেদকে ক্ষমা করো। শিকড়ের সন্ধান করতে বড্ড দেরী হয়ে গেল!
আজ আমি ঠিক করলাম আমার শৈশবের বন্ধুদের জন্য কিছু করব।