সাত সকালে ঘুম ভেঙেছে। কথার কথা হিসেবে নয়, আক্ষরিকভাবেই। এই মমিনের ঘুম এতো সকালে ভাঙার কথা নয়, দুই দুইটা আইফোন আর একটা আইওয়াচের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঘুম থেকে উঠতে পেরেছি। এখন বসে আছি স্কয়ার হাসপাতালে। মায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার তালিকা দীর্ঘ। সেই সকাল ৮ টায় শুরু করেছে। এখনো চলছে। এইবার ভুল করার সুযোগটা দিচ্ছি না। বাবার বেলায় ভুল করেছিলাম। ভুল থেকে মূল্যবান শিক্ষা হয়ে গেছে।
বাবাকে সরাসরি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। যদি তার পরিবর্তে একজন মেডিসিন ডাক্তারের সাথে কথা বলতাম, তাহলে হয়তো তার ক্যান্সার অনেক আগেই সনাক্ত করা যেত! বাবা গত হয়েছেন ৫ বছরের মতো হয়ে গেল।
আনন্দের কথা হলো এখন স্কয়ারে ক্যান্সার মার্কিং এর পরীক্ষাগুলো করা যায়।
বসে আছি। স্মৃতিতে ভাসছে অনেক কিছু। এই হাসপাতালের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক দিনে। একমাত্র সন্তানের প্রথম হৃদয়স্পন্দন এই হাসপাতালেই শোনা। আবার বাবার ক্যান্সার কালিন দীর্ঘ সময়ের যাত্রা এই হাসপাতালেই। এইসব স্মৃতি নিয়ে এইযে সকাল বেলা বসে আছি, নরম রোদ এখন তীব্র। তবুও আনন্দ নিয়ে রোদ্দুর দেখছি। রদ্দুরের কথা ভাবছি। কিন্তু রোদ্দুরের কথা বলতে অনেক সমস্যা।
ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।
**//** স্কয়ার হাসপাতাল, পান্থপথ, ঢাকা **//**