দায়বদ্ধতা ভালো না খারাপ এই চিন্তায় এখনো কাহিল। কীসের দায়ে যে লিখি, এটা এখনো জানি না। এই যেমন কয়েক দিন থেকে কিছুই লিখি নাই। লিখতেই হবে, এমন কোন ঠেকাও নাই। সারাদিন প্রচুর চিৎকার চেচামেচি করে এখন দুদন্ড শান্তির জন্য বসলাম। না, নাটরের বা বরিশালের কোন বনলতা সেন কিংবা চৌধুরী সাথে নেই। দুদন্ড শান্তির জন্য একটু খানি গান, একটু খানি পানীয় এবং একটু খানি মস্তিষ্কই যথেষ্ট। এই তিনটিই সাথে আছে। বসে আছি ইয়েলো ক্যাফেতে। কানে ইয়ারফোনে সন্ধ্য মুখার্জী গাচ্ছেন ‘মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা’। আহা!
ইয়রফোনে গান শোনার একটা ভালো দিক হচ্ছে জনঅরণ্যে হারিয়ে যাওয়া যায়। নইলে বর্তমান কফিশপগুলোর বিজাতীয় গানের আগ্রাসে সংকোচিত থাকতে হয়। এমন কোন কফিশপ কী নেই, যেখানে বাংলা গান বাজে? এই ধানমন্ডিতে অস্থির লাগে। নিজেকে পরাজিত লাগে।
যেহেতু ঠেকা নেই, তাই তালও নেই। সুর আছে শুধু জীবনে। সেই সুরে অদ্ভুত এই বদখত শহরের আধো রাতে বসে না লিখার কারণ আবিষ্কার করাও মনে হয় ভালো থাকা। ভালো আছি অনেক। বেশ ভালো আছি। ধন্যবাদ জীবন।
**//** ইয়েলো ক্যাফে, ধানমন্ডি, ঢাকা।