অনেকেই জানেন আমার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। আসলে কুড়িগ্রামের রায়গঞ্জে। বড় ভালো জায়গা। আমার বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফুলকুমার নদী। এমন সুন্দর নদী খুব কম দেখা যায়। বড় বিচিত্র ভাবে একে বেকে এসেছে নদীটা (নতুন করে গুগুল আর্থে দেখে আরো মুগ্ধ হয়ে গেছি)। এই নদীর পারেই আমার বাড়ি। এখানেই জন্মেছি, বড় হয়েছি। আমার গ্রামের নাম রাঙ্গালীরবস।
আমাদের গ্রামটা ইন্ডিয়ার বর্ডারের কাছে। এক দিকে পশ্চিম বাংলা আর এক দিকে আসাম। মেঘমুক্ত আকাশে আমার গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্য। কত ভালো লাগার স্মৃতি!
এখন আমি ঢাকাতে থাকি। কুড়িগ্রামে যাওয়া হয় খুবি কম। শুধু প্রত্যেকবার শীতের সময় কুড়িগ্রামের কথা ভাবি। যারা উত্তর বঙ্গের মানুষ তারা শীতের ব্যাপারটা জানেন। অনেক ভয়ঙ্কর শীত সেখানে। কিন্তু কুড়িগ্রামের শীত আরো ভয়ঙ্কর। কেন?
১. কুড়িগ্রামে মঙ্গা আছে
২. কুড়িগ্রামের ৫ ভাগের ৩ ভাগই নদী
মঙ্গার কারনে লোকজনের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে অনেক কম এবং মঙ্গার পর পরই বোনার হিসেবে আসে শীত। কুড়িগ্রামের খুব কাছেই দার্জিলিং, তাই ঠান্ডা কেমন একটু চিন্তা করে নিন। প্রত্যেকবার শীতে কোথাও লোক মরুক আর নাই মরুক, কুড়িগ্রামে মরবেই। আমাদের রেকর্ড কেউ ই ভাঙতে পারবে না!
আর ব্রহ্মপুত্রের মতোন বেয়াদপ নদী কুড়িগ্রামে। এই পাগলা নদী ভাঙনের গান গাইতে খুব ভালোবাসে। নদী ভাঙে আর মানুষ বুক চাপড়ায়। যে বুকের স্টেমিনা মঙ্গায় একদম শেষ!
সিডরের তান্ডবে সবান্ধবে আমরা অনেক করছি, আরো করব। এই লেখার উদ্দেশ্য হলো আপনারা একটু কুড়িগ্রামের কথা ভাবুন। পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গরিব জেলা। লোকগুলোকে একটু হেল্প করুন।
Category:
লেখালিখি
-
আকাশ ভরা চাঁদের আলো জোৎস্না সব খানে, হাত বাড়িয়ে জোৎস্না ধরি জোৎস্না নেই মনে, অবাক হয়ে যে দিকে চাই আলোর …
-
আমি ইদানিং রাস্তায় রাস্তায় একটু বেশিই হাটিকত বড় বড় বাড়ি চারপাশেতার মইধ্যে আবার বাতিও জ্বলেআমার দেখতে বড়ই ভালো লাগে।হয়তো সেইসব …
-
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমার অনেক পছন্দের একজন লেখক। গতকাল রাতে আমি শিশু কিশোরদের জন্য তার লেখা জলদস্যু উপন্যাসটি পড়লাম। দুর্দান্ত। উপন্যাসটির পটভূমি সেই …
-
(প্রিয় পাঠক, এই গল্পটি আগের লেখা। খুঁজে পেলাম কম্পিউটারে। গল্পটি খুব ভালো নয়। কিন্তু আমার ব্লগে আমি লিখলাম। কোন প্রুফরিডিং …
Older Posts