কিছুদিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সবার জন্মদিনে ফেসবুকে চিঠি লিখব। যেহেতু বাঙালি, আড়ম্বর করি কিন্তু আরম্ভ করি না- তাই আড়মোরা ভেঙে লিখতে বসে গেলাম। লেখা মানেই সেই কম্পিউটারে। কাগজে চিঠি লিখে সেটা পাঠানো কষ্ট। এক প্রিয়জন পরমিশ দিলেন যে কাগজে লিখে সেটা ছবি তুলে পাঠিয়ে দিতে। উদ্দেশ্য কিছু না, কয়েক শতাব্দীর চিঠি সাহিত্যকে একটু টিকিয়ে রাখা। কিন্তু এই বাজারে জিনিস তো ঠিক টেকে না। আমার উদ্দেশ্য যতই মহত হোক না কেন টেকসই পন্থা ঠিক যুত করতে পারলাম না। দুইদিন যেতেই বুঝতে পারলাম আমার বন্ধু তালিকা প্রায় ৫হাজারের কাছাকাছি। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ টা করে চিঠি লিখতে হবে। এবং যাদের কাছে চিঠি লিখব, তাদের ভালোমতোন চিনিও না।
তাই একটা সিদ্ধান্তে আজকে পৌছেছি। যাদেরকে চিঠি লেখার মতো মনে হবে না, তাদেরকে বন্ধু তালিকা থেকে সরিয়ে দিব। সকাল থেকে এই কাজ করছি। আসলে চিঠি লিখতে হলে গল্প থাকা খুব জরুরী। আর এই গল্প তৈরি হয় আড্ডায়, যোগাযোগে। ফেসবুকের বেশীরভাগ বন্ধুই নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো। জানি আছে কিন্তু কোন কামের না। এনারা বেশীরভাগই ঘাপটি মেরে থাকেন। মাঝে কিছুটা আহাউহু পাওয়া যায় কিন্তু এই সূক্ষ অনুভূতির বাজারে সেটা দিয়ে কী আর দায় মেটে ভায়া!
প্রতিক্রিয়াশীল বন্ধুত্ব আমার সবসময় প্রিয়-তা অনলাইনেই হোক আর অফলাইন। আমার এই প্রতিক্রিয়াশীল স্টাটাস আমার বন্ধুদের জন্য।
শুভ রাত্রী।
নির্ঝর
গ্রিন লিলি, ধানমন্ডি