গত পরশু আমাদের সর্বকনিষ্ঠ একমাত্র সবচেয়ে ছোট বোন নিশির বিবাহ বার্ষিকী ছিল। মানে ৯ বছর আগে সে রন্জুকে বিয়ে করে। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রঞ্জুর বন্ধু নাদিম, মানে আমাদের বাড়ির বড় জামাই কেক এনেছে। সেই কেক ভালো ছিল কী ছিল না তা আমি জানি না। ওদের বাড়িতে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। বিরিয়ানি আমার প্রিয় খাবার নয়। আমার প্রিয় শিং মাছের ডিমের ভর্তা। যাই হোক, ধান ভানতে শিবের গীত আর না গাই। মূল প্রসঙ্গে আসি। প্রসঙ্গ হলো দৃশ্যমান এই কেক এবং তার উপরের লেখাটি। এখানে লেখা Nishi loves Ranzu-Sharif Uz Zaman.
এই লেখা নিরীহ প্রকৃতির একটা কথা। কিন্তু সমস্যা হলো এই লেখা নাদিমের (Ahsan Habib) একমাত্র ছেলে আবনান মানে আমার বড় ভাগ্নেও দেখে ফেলেছে। এবং সেখানেই সমস্যা। আমার মায়ের সাথে আবনানের কথপকথন:
-এখানে যা লেখা হয়েছে তার মানে তো নিশি’মা রনজু বাবাকে ভালোবাসে।
-তা বাসে তো
-তার মানে কী রনজু বাবা নিশি’মাকে ভালোবাসে না?
-সেও বাসে।
-কিন্তু লেখা তো উল্টো হয়ে গেছে। লিখতে হতো Ranzu loves Nishi. কারণ আমি সবসময় লক্ষ্য করেছি নিশি’মা রনজু বাবার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে, সারাদিন কমপ্লেন… রনজু এইটা পারে না, এইটা করে ন, বাচ্চাদের টেককেয়ার করে না, অনেক ঘুমায়.. শুধু কমপ্লেন আর কমপ্লেইন। তাহলে তুমি আমাকে বল নিশি’মা কীভাবে রনজু বাবাকে ভালোবাসে!
গতকার রাতে এই গল্প শোনার পর থেকে বাচ্চাকাচ্চাদের অবজারভেশন নিয়ে আমার বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বাচ্চারা আসলে সবকিছু গভির ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
নিশির জন্য সমবেদনা। 🙂