২০০১ সালের সম্ভবত জুলাই মাসে আমার সাথে তার পরিচয় হয়েছিল। মেয়েটা ভিকারুন্নিসা কলেজে পড়ত। অনেক ভালো ছাত্রী ছিল। বাসা ছিল ধানমন্ডি। আমার সাথে তাঁর পরিচয় ইন্টারনেটে। সেই সময়ে আমি সারাদিন’ই চ্যাটিং করতাম। মেয়েটার মাথার চুল দেখে আমি পুরো প্রেমে হাবুডুবু। আমার বয়স তখন ছিল ২১। প্রথম দেখা করতে গেছিলাম বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে। বনানী থেকে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আমার সিএনজি খারার হয়ে যায়। আমি ফার্মগেট থেকে কাকভেজা হয়ে তার সাথে দেখা করতে যাই। সে বিড়াট রোমান্টিক দিন। সত্যিই! ওমন দিনে তারে বলা যায়। আমার তখন উঠতি স্বপ্ন। যাই হোক। ২০০২ সালা পর্যন্ত তার সাথে যোগাযোগ ছিল সরাসরি। এরপর একবার দুইবার ফোনে কথা হয়েছে। তারপর আর কোন খোঁজ নাই।
মেয়েটা খুবই গানপাগল ছিল। অনেক বেশী গান শুনতো। আর যেহেতু আমার উঠতি আবেগ; আমি মুগ্ধ হয়ে তাঁর মুগ্ধতা দেখতাম। সবই আজ ইতিহাস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি এখন নিউ ইয়র্কে। বিয়ে করেছেন কিনা জানি না।
নিঃরাতের প্রতি
প্রিয়তমা- আঁধার নেমেছে-রাত
গাছগুলো ঘুমন্ত, এই যান্ত্রীক শহরে
বুকের বিশাল রেললাইনে তোমার আমার প্রাণ
চলেছে সেই কাল থেকে সমান্তরালে;
বলেছিলে কোন এক বসন্তে
‘রিমঝিম বৃষ্টি, গান আর রাত
আমার জীবনের সুখের ধারাপাত’
সেই বসন্তের পর বহুবার বহুভাবে
কুহু কুহু ডাক ভেসে এসেছিল পরিচিত পাশে
অনেক পূর্নিমারও হল অবসান
শুধ্ইু রাত আছে আমার এখন
হৃদয় মেঘে বৃষ্টি নিরসন
সারারাত বুকের মাঝে মেঘ দুরস্ত
জেনেরাখ, আমার বুকে বৃষ্টি ঝড়ে না
তবুও রাত, শকুনের শ্যোন দৃষ্টিতে আমাকে দেখে চেয়ে
নিস্তব্ধতাকে এখন আমি জানি তার নিজকন্ঠে
আবার ভেতরের উড়– উড়– মেঘ, সত্য
তবুও ঘোরের মাঝে স্বপ্ন ছুঁতে যাওয়া, বৃথা হয়রানি;
নিস্তব্ধতার কন্ঠকে আমি এখন জানি
নিঝুম রাতে বৃষ্টি বিসর্জিত প্রাণে আর গান আসেনা
তোমার সুখের ধারাপাতের তাই সমাধি
আর থেকে থেকে হৃদয় রেললাইনের গাড়ি
পাগলা হুইসেল দেয় শুধু।
যে সময এই কবিতাটি লিখি: তখন পালে বাতাস লাগিয়াছে। তাই কখনই তাকে আর এই কবিতাটি বলা হয় নি। এতোদিন পরে নিজের ব্লগে লিখে ফেললাম। এখন আর কিছুই যায় আসে না। সেইসব সংকীর্ণতা আমি কাটিয়ে ফেলেছি! তবুও ইসরাত জাহান লিন্ডা; এই কবিতাটি আপনার জন্য ছিল।