২০১০ এর প্রথম বাইনারি তারিখে আমরা বিয়ে করেছিলাম, মানে পহেলা জানুয়ারী। দেখতে দেখতে একটা বছর চলে গেল। এক বছরের আমাদের ঘরে আমরা রূপকথার জন্ম দিয়েছি, ২০১০ এর ৫ নভেম্বর। একটা বছর কেমন করে যেন চলে গেল, ঠিক টের পেলাম না। আনন্দ ভালবাসা নিয়েই জীবন, এটা উপভোগ করেছি বলা যায়। বেঁচে থাকাটা খুব খারাপ নয়!
নব বর্ষের দিন বিয়ে করে মনে হয় একটা ভুল হয়ে গেছে। কাউকেই পাওয়া যায় না। সবাই অনেক ব্যস্ত থাকে। তাই সরণি আর আমি বের হলাম শেষ বিকেলে। এক সাথে একটু বাইরে থাকা। রূপকথা নানীর কাছে, এটা একটা চিন্তার কারণ। যেহেতু খাওয়াদাওয়ার ব্যপার তাই অবধারিত ভাবে ফোন করলাম শিপলু ভাই কে। উনি হচ্ছেন আমার লাইভ খাবার বিশ্বকোষ। আমার ধারণা ঢাকার সমস্ত খাবারের দোকানের খবর উনি জানেন। শিপলু ভাই একটা জায়গার কথা বললেন, যেটা আমাদের বাসার কাছে ছিল, নাম প্রিন্স রেস্তুরান্ট। অনেক আশা নিয়ে গেলাম আন্দ বিভোল হইলাম। কারণ সেখানে private পার্টি চলতেছে। মন খারাপ করে হাত দিলাম আবার। এর পরে একটা রেস্তুরান্ট এ গিয়ে বসলাম এবং বছরের সুরুতে অতি জঘন্য খাবার খেলাম। রেস্তুরান্ট এর নাম চিয়ার্স। আপনারা কেউ ভুলেও এঐ রেস্তুরান্ট খাইয়েন না। ধানমন্ডি ২৭ এ এই রেস্তুরান্ট।
কনক দা কুষ্টিয়ায় ছিলেন, তাই তাকে পাওয়া গেল না। এক বসর আগের সেই দিনে দাদা আমাদের বিয়ে দিয়েছিলেন। অনেক মিস করেছি ওনাকে।