শুক্রবার নাকি বই মেলার জন্য ভালো। ছুটির দিন। তাই সকাল ১১টা থেকে মেলা শুরু হবে। কাজের চাপে গতকাল বইমেলায় যেতে পারি নাই। আজকে যেতে পারব কিনা জানি না। আমার উচিত নিজের বই বিক্রির জন্য প্রতিদিন অন্তত একটা করে স্টাটাস দেয়া কিন্তু সেটাও ঠিক পারি না। আপনারা এখনো যারা জানেন না তাদের বলছি আমার উপন্যাস ছোট কাকের পাহাড় জয় প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন। মেলার বর্ধিত অংশ সোহরার্দি উদ্যানের প্যাভিলিয়ন নাম্বার ১২ তে পাওয়া যাচ্ছে।
কেশরে ছোট ছোট ঘন্টা লাগানো প্রথম সিংহ রাজার কথা যদি জানতে চান তাহলে বইটি পড়া উচিত। মানুষের রাজনীতি দেখ দখে অনেকই হয়তো বোরড। তাই এবার পশু রাজনীতি শিখুন।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
****************************************
সকল সিংহ চলাফেরা করে নিঃশব্দে। এটা সিংহ বা বাঘ বা বাঘের মাসি বিড়ালের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এই বনের সিংহরাজ একটু অন্যরকম। তিনি চান রাজ্যের সবাই জানুক রাজা কোনো পথ দিয়ে যাচ্ছেন। সব কিছুতে একটা আয়োজন না থাকলে রাজার ঠিক পোষায় না। রাজা চলবে রাস্তায় আর যদি একটা রাজকীয় ভাব না-ই থাকে, যদি একটা আলোড়ন না-ই হয় তাহলে আর কিসের রাজা! উপায় থাকলে প্রতিদিন রাজা ব্যান্ডপার্টি নিয়েই হাঁটতেন কিন্তু সেটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। তাই রাজার নিজের ফ্যাশন ডিজাইনার সুন্দর করে ছোট ছোট ঘণ্টা দিয়ে তার কেশর কে সাজিয়ে দিল। কয়েকটি কেশর একসঙ্গে করে ছোটছোট বেণির মতো করে, তাতে বসানো হলো ঘুঙুরের মতো ঘণ্টা। বাহারি রঙের সেইসব ঘণ্টায় রাজার চেহারা হয়ে গেল অনেক দশাসই। জলতরঙ্গের মতো তার শব্দ। শুনতে খারাপ লাগে না।
এখন রাজা যে দিকে যান টুন টুন করে ঘণ্টা বাজে। রাজা মনে মনে বেজায় খুশি। যদিও রাতে তার ঘুমাতে সমস্যা। এদিক-সেদিক ফিরলেই ঘণ্টার টুন টুন শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু রাজা সহ্য করে নিচ্ছেন। ঘণ্টাওয়ালা সিংহ পৃথিবীতে কয়টা আছে!
******************************************