স্বাভাবিক ভাবে ডুব ছবিটির বিষয় নিয়ে আমার বেশ আগ্রহ। আমি নিজেকে একজন হুমায়ূন ভক্ত দাবী করি। আর একটা কারন হলো বিগত তিন বছরে দশের অধিক নাটকের চিত্রনাট্য করেছি, সবই হুমায়ূন আহমেদ এর গল্প বা উপন্যাস অবলম্বনে।
মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী কে আমি চিনি ২০০০ সাল থেকে। সেই সময় প্রথম আলোর একজন প্রদায়ক ছিলাম। তাই প্রায় প্রতিদিন দেখা হতো। অনেক আড্ডা হয়ছে। তার ব্যাচেলর ছবিটি আমি দেখেছি। আর দেখেছি ৫১ বর্তী’র কয়েকটা পর্ব। ব্যক্তি ফারুকী আমার পছন্দের। কিন্তু চলচ্চিত্র বা নাটক নির্মাতা ফারুকী আমার কখনোই প্রিয় না। মোটামুটি ভাবে যখনি কোন সিনেমা বা নাটক বিষয়ক আড্ডায় কথা হয়েছে সবসময় বলেছি উনি একজন গুণী নির্মাতা কিন্তু সস্তা জনপ্রিয়তার লোভ ওনাকে নষ্ট করে ফেলছে।
এটাই হয়তো এখনকার পপ কালচার। যে স্ক্রিপ্ট ছাড়া নাটক বা সিনেমা হবে। চলিত, লেখ্য, কথ্য সব ভাষায় জগাখিঁচুড়ি হবে। হোক। দিন শেষে দর্শক নির্বাচন করে কোনটা গ্রহনযোগ্য কনটা না। এই পপ মেকিং এ একটা ভালো জিনিস হয়েছে, যাদের কখনো অভিনেতা হওয়ার কথা না তারা অভিনয় পেশায় আসতে পেরেছেন। অনেক ভালো অভিনেতা অভিনেত্রী বের হয়ে এসেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় ফারুকী গঙ ক্ষতিটাই বেশি করেছেন। ক্ষতির পরিমান এমন একটা অংকে নিয়ে গেছেন যে কিছুদিন আগে অভিনয় শিল্পের সবাইকে আন্দোলন করতে হলো। এটাই সত্যকথা। এটাই বাস্তবাত এখন, এই দেশের নাটক সিনেমা এখন কেউ দেখে না। অথচ চোখে স্বপ্ন নিয়ে বসে থাকা অনেক নির্মাতাকেই চিনি। যারা এখনো অপেক্ষায় আছে ভালো কিছু করার।
হুমায়ূন আহমেদ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। তিনি একজন জাতীয় সম্পদ। কোন কিছুর নামের সাথে হুমায়ূনকে জড়াতে পারলে ব্যবসা ভালো হয়। যতই ইনিয়ে বিনিয়ে বলেন না কেন, বাংলাদেশে হুমায়ূন আহমেদ সবচেয়ে বড় ব্রান্ড। যেহেতু সময়টা এখন পুঁজিবাদের। তাই হুমায়ূনকে পুঁজি করে ব্যবসা করার আইডিয়া হবে সবচেয়ে বড় আইডিয়া। আর সস্তায় একটা ভালো ব্যবসা করার বা একটা হাইপ তৈরি করার ব্যাপারে ফারুকী গঙ এই দেশে সবচেয়ে দক্ষ।
ভাইরে হয়তো ভুলে গেছেন এই হুমায়ূন আহমেদ একবার কয়েকটা লাইন লিখেছিলেন যে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি অনশন করবেন। সেই দিনটায় পুরো বাংলাদেশ অচল হয়ে গেছিল। এই দেশে এখনো মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ সবচেয়ে জনপ্রিয়। এখনো বইমেলায় হুমায়ূন আহমেদ এর বিক্রিত বই বাকী সবার বিক্রিত বইয়ের দ্বিগুন। যেসব সস্তা চিন্তায় তাঁকে নিয়ে ব্যবসার চেষ্টা করছেন। করেন। কিন্তু হুমায়ূনকে হজম করা একটু কঠিন। তাই কিছু ভুল না করাই ভালো।
স্বাভাবিক ভাবে ডুব ছবিটির বিষয় নিয়ে আমার বেশ
2
previous post