তিন দিন হলো ব্যায়ামাগারে যাচ্ছি যেটাকে জিম বলে সবাই। আমাদের অফিসেই সেই জিম। ডেইলি স্টারে কাজ করা সবার জন্য এটা উন্মুক্ত। জীবনে জিমে যাই নাই। তাই একজন সহকর্মীকে ওস্তাদ জ্ঞান করে জিমে উপস্থিত হলাম। আমার এই বিশাল ভুরি মার্কা শরীর দেখেই হোক আর আগ্রহ দেখেই হউক, আমার সেই কলিগ প্রথম দিনই অনেক কিছু করিয়ে নিলেন। তার প্রভাব পড়ল পরের দিন সকালে। একটা সার্ভারে সামান্য একটা কাজ করার জন্য পুটি ওপেন করেছি, কিন্তু দেখছি যে ডান হাতের আঙ্গুল গুলো দিয়ে কিছুই লিখতে পারছি না। পুরা প্যারালাইজড।
জিমের আতঙ্ক পুরো কাটার আগেই মরার উপর খাড়ার ঘা। পরের দিন আরো ডাবল কষ্ট। আমার এই ঘী মাখন খাওয়া নধর শরীর এতো অত্যাচার কেমন করে সইবে!
আমি জিম করছি, ডেইলি স্টারের আমার ডিপার্টমেন্টের সবাই জেনে গেল। পরের দৃশ্য আরো ভয়াবহ। আমি জিমে আর সবাই ভিতরে ঢুকে তাকিয়ে আছে! অনেকেই বিশ্বাস করে নাই। আমার লুতুপুতু মার্কা শরীর নিয়ে আমি জিমে! এই আজব তথ্য ভেরিফাই করার জন্য সরেজমিনে তাদের আগমন।
তিন দিন জিম করে আজকে একটু আরামে আছি। গায়ের ব্যাথা নাই। তবে ভুরিটা মনে হয় আরো প্রমিনেন্ট হয়ে গেছে। জিম করলে ভুরি কমে যাওয়ার বিধান আর আমার হচ্ছে উল্টো। কপালে খারাপি আছে!
**//** ইয়েলো ক্যাফে, ধানমন্ডি, ঢাকা।