পাহাড়ের ধারের ঘন বন। বনে হাজার রকমের পাখি, পশু। সব বনের মতোই এই বনেরও একটা রাজা আছে। আর বনের রাজা মানে অবশ্যই সিংহ রাজা। সিংহ রাজার রাজ্যে সবাই এক রকম শান্তিতেই বাস করে। মাঝে মাঝে কিছু সমস্যা তৈরি হয় কিন্তু করিৎকর্মা মন্ত্রী পরিষদ তড়িৎ গতিতে সব সমাধান করে দেয়। তাই বলা যায় এই বন বা রাজ্যের অধিবাসীরা মোটামুটি সুখী।
সকল সিংহ চলাফেরা করে নিঃশব্দে। এটা সিংহ বা বাঘ বা বাঘের মাসী বিড়ালের বৈশিষ্ট। কিন্তু এই বনের সিংহ রাজ একটু অন্যরকম। তিনি চান রাজ্যের সবাই জানুক রাজা কোন পথ দিয়ে যাচ্ছেন। তাই রাজার নিজের ফ্যাশন ডিজাইনার সুন্দর করে ছোট ছোট ঘন্টা দিয়ে তার কেশর কে সাজিয়ে দিল।
এখন রাজা যে দিকে যান টুন টুন করে ঘণ্টা বাজে। রাজা বেজায় খুশি। রাজদরবারে মন্ত্রী এবং সেপাইদের নিয়ে রাজা নিরাপদে আমোদে থাকেন। রাজকবি সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে ফেলেন আর রাজা তারিফ করেন। প্রতিদিন নিয়ম করে রাজ সভা হয়। সভায় রাজ্যের পশু-পাখিরা তাদের সমস্যা নিয়ে আসে। রাজা সবার কথাই মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমাধান দেন। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি শুরু হলো কাকদের নিয়ে।
—এটা আমার উপন্যাসের প্রথম চ্যাপ্টারের অংশ। বাচ্চাদের জন্য মূলত লেখা। আশা করছি ১ ফেব্রুয়ারী বইমেলায় পাওয়া যাবে।
পাহাড়ের ধারের ঘন বন। বনে হাজার রকমের পাখি,
5
previous post