আমার জন্মের সালে এই ভদ্রলোক মারা যান। আজ ২৮ আগস্ট শিবরাম চক্রবর্তীর ৪১তম মৃত্যু দিবস। এই যে আমি এখনো সাহস করে বাংলা গদ্য লেখার যে সাহসটুকু করি, শিবারাম চক্কোত্তি’র সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। লেখার কাছে দায়টুকু পূর্বের সকলের কাছে আর সেই সূচনা শিবরামের হাতে।
বাংলা শব্দের প্রতি গভীর ভালোবাসা এনার লেখা থেকে তৈরি হওয়া। শিবরাম অবমনিবাসের প্রথম তিন খন্ড তার আত্মজীবনি। আমার পড়া শ্রেষ্ঠ একটা জীবনি। এই ভবঘুরে মানুষটির সামান্য পরিচয় পাবেন হুমায়ুন আহমেদের হিমু চরিত্রে। গল্পের হিমু লেখক না আর শিবরাম পুরো জীবন ছোটদের জন্য লিখে গেছেন। এবং যিনি বলতেন তিনি ছোট লেখক, মানে ছোটদের জন্য লিখেন। আমি নিজেও এই কথা বলি, কিন্তু কপাল! কেউ বুঝতেও পারে না শিবরামকে কোট করে যাচ্ছি।
আজ সকালে যথারিতি ফেইসবুক মেমোরিতে দিনটা আসল। জানি না কেন যেন চোখটা ভিজে গেল।
বাংলা ভাষায় আমার মতোন একজন তুচ্ছ মানুষকে গদ্য লিখতে সাহস যোগানোর জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
**//**আম্রমঞ্জরি, ধানমন্ডি, ঢাকা।