আমার আম্মার অনেক দিনের শখ সিনেমার শুটিং দেখবেন। খুবি ভাল কথা। যেহেতু আমি ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবির একজন টিম মেম্বার তাই আজকে শুটিং দেখতে নিয়ে যেতে চাইলাম আমার মাকে। কিছুটা দেরি করে একটা সিএনজি রিক্সায় তাকে নিয়ে রওনা হলাম। গতকাল আমার বাসায় মায়ের সাথে নায়ক রিয়াজ এর পরিচয় হয়েছে। আজকে তার অভিনয় দেখতে যাওয়ার সময় যখন আমরা বনানীর কাছে, মহাম্মদ ইব্রাহিম ফোন করলেন। ইনি কৃষ্ণপক্ষ ছবির সহকারি পরিচালক। “নির্ঝর ভাই, রিয়াজ ভাই হথাত অসুস্থ হয়ে পরেছেন। হাঁসপাতালে নেয়া হয়েছে। ভাবী কে জানাতে না করেছেন”। আমি ভাবলাম শুটিং এ দেরি করে যাচ্ছি তাই হয়ত আমাকে রিয়াজ ভাই এর নাম নিয়ে দ্রুত ডাকছে। সবাই রিয়াজ ভাইইয়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব টা জানে। আমরা একটা ব্যাবসার পার্টনার ও। আমি পুরো বিষয় টা হেসে উরিয়ে দিলাম। পরের ফোন টা করলাম নায়িকা মাহিয়া মাহি কে। সে বলল রিয়াজ ভাই কে হাঁসপাতালে নিয়ে গেছে। আমি ঘাবড়ে গেলাম। ফোন করলাম পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন কে। সে বলল রিয়াজ ভাইকে নিয়ে হাঁসপাতালে। এবার পুরোপুরি বিশ্বাস করলাম। আমি যখন বনানী পার হলাম, তখন আবার শাওন কে ফোন করলাম যে আপডেট কি? শাওন জানালো অবস্থা ভাল না। এপলো হাঁসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আমি দ্রুত এপলো হাঁসপাতালে যেতে বললাম। এবং রিয়াজ ভাই এর বউ তিনা ভাবি কে ফোন দিলাম। এবার হল বিপত্তি। কিভাবে সংবাদ দেই? এরমধ্যে হাঁসপাতালে পউছে গেছি। রিয়াজ ভাই ও পউছে গেছেন। আমি দেরি না করে একটা গাড়ি নিয়ে বনানী ভাবী কে আনতে। আনতে আনতে জানা গেল রিয়াজ ভাইয়ের হার্টে ৪টা ব্লক। একটা ১০০%। আমার বান্ধবী স্বর্ণা। তার স্বামী ডাক্তার সাহাবুদ্দিন তালুকদার। উনি দ্রুত রিয়াজ ভাই এর হার্ট এর ব্লক দূর করে দিলেন একটা রিং পরিয়ে। আমি পুরা সিস্টেম টা লাইভ দেখলাম মনিটর এ। রিয়াজ ভাই এখন সঙ্কামুক্ত। আলহামদুলিল্লাহ।