শিরোনামটি আসলে অনেকটা স্যাডিস্ট। তবে আজ কিন্তু বন্ধুর দিন। কোন ভুল নাই। সব কিছুর জন্য একটা বিশেষ দিন। খারাপ নয়। অন্তত এই দিনটার দোহাই দিয়া কেউ কেউ কিছু আঁকড়ে বেঁচে থাকে। আমি সেই দলের নই। আমার বন্ধু খুব বেশী না। তবে হাতে গোনার মতোও না।
রাত ১২:৩০
ইংরেজী ক্যালেন্ডারের সাথে এখন বন্ধু দিবস। এই সময বাসায় আসে কনক আদিত্য (গায়ক, অভিনেতা, মিউজিশিয়ান, আটিস্টম্যান), ইসরাত ভাবী (দেশালের মালিক) এবং সবুজ ভাই (দেশালের মালিক). একেই বলে মেঘ না চাইতেই ঝড়। হায় বন্ধু ভাগ্য আমার! ধন্য আমি।
ঘুম থেকে উঠে
প্রথমেই ফোন করলাম আমার অফিশিয়াল বেস্ট ফ্রেন্ড মাই ডিয়ার সাজুকে (কাজী সাজ্জাদুল আশেকীন সাজু। আর্টসেল ব্যান্ডের ড্রামার। শালার শরীর টা বড় তো পিটাপিটি ছাড়া কিছুই করা শিখে নাই।)। সাজু আমার বেস্ট ফ্রেইন্ড। কিন্তু ওর সাথে গত ৫মাস ধরে দেখা নাই। যোগাযোগ শুধুই ফোনে। তাও আবার আমার বাসা থেকে যোগাযোগ করা যায় না। আমার বাসাটা ২০তলায়। বাংলাদেশের কোন মোবাইলেল নেটওয়ার্ক থাকে না এখানে। আমার আর একটা অফিশিয়াল বেস্ট ফ্রেন্ড আছে, ওর নাম মৌ (ফারজানা ইফ্ফাত আরা)। মৌ বিয়ে করার পর থেকে আর ঠিক মতোন ফোন ধরতেছে না। জামাই নিয়া ব্যস্ত।
তবুও আজ বন্ধু দিবস
দিবস আসে। চলে যায়। বন্ধুহীন; নির্বান্ধব মন বার বার খুঁজে বেড়ায় কাউকে। যে সুর মনের মধ্যে বসে বসে কল্পনা করি তার কম্পোজিশন যার করার কথা সে ফিরেও তাকায় না। যদিও ক্ষণিকের নরম আলোয় আলতো করে ছুঁয়েছি তার হাত। আমার বন্ধু দিবস তুমি ভালোবাসে হাত ধরে থাকো।