তোমাকেই বলে দিব-২
আমি তোমাকেই বলে দিব’ অনাদি-অন্ত সমাচার
 সেই মহকালের সময়ের হিসেবেরও আগে থেকে বলে আসছি
 এই স্বঃমন্ত্র; অনুচ্চারিত হয়েও তবুও থমকে যায়নি কখনও
 এখনও ভাবি বারংবার একি ভাবে ভিন্ন মাত্রায় রাঙিয়ে-তবুও জেনো
 তোমাকেই বলে দিব-আমার ইতিহাস
 সেদিন বিকেলের গল্পগুলোতেই ধর’ কাটা চামচের মধ্যে থেকেও ভালবাসা
 বারংবার তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছিল আর তাই বুঝি তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত
 আর আমি সেদিনের স্বল্পক্ষনের বিকেল বা বৃষ্টির আলিঙ্গনে ক্লান্ত রাজপথকে
 পুঁজি করে নিয়ে লিখেছি কোন কাব্য বা কাব্যানু স্বার্থপর আমি…
 এখন রাতগুলি অনেক নিরুত্তাপ কিংবা পালভাঙা কিংকর মাঝি
 ছেড়াপালে নৌকা বাই-কুল নাই- অকুলে অকুতো এক নিধিরাম
 তারপরেও গল্পগুলো শেষ হয় না অনেকটা ননস্টপ মেইলের মতন
 এজীবন ভালবেসে কোন কথা তৈরি হবে কিনা কোনও ভাবে জানিনা
 তবুও জেন আমি তোমাকেই বলে দেব’ কোন একদিন;
 কোন একদিন হয়ত আবারও হাতের মধ্যে হাত
 চোখে রঙিন দৃষ্টি-এলোপাথারি বৃষ্টি-কফির ঘ্রাণ
 হয়ত কোনদিন ব্যস্ত রাজপথ-ফুটপাতে আমি আর তুমি কাধে শান্তিনিকেতনি ব্যাগ
 হয়ত আবারও ভ্রমরের মতন তোমাকে ছুঁব নতুন করে আর তখনি জীবনের
 ভুলের খসড়া পান্ডুলিপিটির কথা তোমাকে বলব যেন এর প্রুফরিডিং কর তুমি
 হয়ত জেনে যাবে তখুনি তোমাকে বলে দেয়ার শেষ কথাগুলো। 
০৫জুলাই/২০০৩
কবিতাটি সম্ভবত বনানী থাকার সময় লেখা।

