বসুন্ধরা শপিং মলে বই!

by nirjhar

আজকে বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়েছিলাম। অনেক দোকান, বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু বইয়ের কোন দোকান নাই। আমার বোনকে বললাম বসুন্ধরায় একটা বইয়ের দোকান দিলে খারাপ হতো না। পরে যখন একটু ঘোরাঘুরি করলাম তখন লেভেল চারে দেখলাম অন্য মেলা। এখানে বই আছে।

দেশের জনপ্রিয় সব লেখকের বই আছে এখানে। শুধু তাই নয় যে বইগুলোন সচরাচর এক সঙ্গে পাওয়া যায় না, সব এখানে দেখেছি। মহানন্দে কিছু বই কিনলাম। মনটা এখন ভালো। তাই ব্লগে লিখে ফেললাম।

You may also like

2 comments

riton October 30, 2010 - 9:46 pm

গতবার দেশে গিয়ে এই বিষয়টা আমি খেয়াল করেছি, যে পরিমান সিডি ডিভিডির দোকান তার ২৫% বইয়ের দোকান থাকলেও চলত। পরে আরো খেয়াল করলাম যে আজিজ সুপার মার্কেট থেকেও বইয়ের দোকান ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তার স্থল দখল করছে বুটিক হাউসগুলো। অন্যমেলার দোকানটি আমি দেখেছিলাম কিন্তু মন ভোরলো না। বইয়ের সংখ্যা ছিল সীমিত। ঢাকায় পিবিএস নামের একটি বইয়ের চেইন স্টোর হচ্ছে। অল্প কিছু সময় কাটিয়ে ছিলাম সেখানে ওদের উদ্যেগ ভালোই মনে হলো। অনেক খুঁজে পেতে বাংলাদেশের সংবিধান বইটি যা কোথায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না সেটা ওখানে পেলাম।
বই সম্পর্কে লিখেছেন দেখে কোমেন্ট করারা লোভ সংবরন করতে পারলামনা।
বই নিয়ে দুকথা;
বই অধ্যয়ন করাটা আমাদের ছাত্রজীবনের অনুষঙ্গ বহন করে বলে আমদের বেশিরভাগ লোক ছাত্রজীবনের পরে বইবিমুখ হয়ে পড়ে। তারা বইকে জীবনযাপনের জন্য আর অপরিহার্য মনে করে না। আর্থনীতিক দুরবস্থার কথা তুলে বই-না কেনার পক্ষে কোনো যুক্তি টেকে না। কারণ স্বল্প আয়ের মানুষেরাবই ছাড়া অন্যসব সামগ্রী কিনতে পিছপা হয় না। সভ্যতার সাথে সাথে বইয়ের কদর চাহিদা অনেক বেড়েছে। তাই দেশের চৌহদ্দি পেরিয়ে যখন বাইরে বেড়িয়েছি, দেখেছি আধুনিক পৃথিবী বইয়ের জগত দিয়ে ঘেরা। জার্মানির লিপজিগ বইমেলায় প্রতি বছর যাবার সাধ্য কুলায় না, কিন্তু বইয়ের টানে ২১শের মেলায় প্রতিবছর ঠিকই হাজিরা দেই। বছরের এই একটি সময় আমার খুবই আনন্দের সময়।

Reply
nirjhar October 30, 2010 - 9:48 pm

বসুন্ধরাকে অনেক বড় একটা বইয়ের দোকান বানানো যায় :).

Reply

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00