বাসার পাশেই দু’টি গ্যালারি। গ্যালারি চিত্রক এবং শফিউদ্দীন। আমার ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’ অবস্থা। আদতেই দুই পা ফেললেই গ্যালারি দর্শন করা যায়। কিন্তু আমি অলস। আলসেমি করে ঠিক কোথাও যাওয়া হয় না। আসলে শুক্রবারগুলো আলসেমি করার। সপ্তাহের পাঁচদিন মগজ-ভাঙা (হাড় ভাঙা না। আমাদের প্রজন্ম আর হাড়ভাঙা খাটুনিতে অভ্যস্ত না) খাটুনির পর আর কোন কিছু করতে বা দেখতে ইচ্ছে করে না। শুক্রবার যেন আসেই শুয়ে-বসে কাটানোর জন্য। দুপুরে জার্মানি থেকে আমার বোন কাচ্চি বিরিয়ানি পাঠিয়েছিল মানে জার্মানি থেকে অনলাইনে অর্ডার করেছিল। সেই কাচ্চি খেলাম সংগে ভাত আর কই মাছ। এতো কিছু খাওয়ার পর আর ঠিক কোথাও যাওয়াটা পোশায় না।
তবুও আজকে একরকম বিদ্রোহ করেই বেড় হলাম। গ্যালারি চিত্রকে রফিকুন নবী (র’নবী) এর আশিতম জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনী চলছে। অনেক বড় বড় ছবি। প্রাণভরে দেখলাম। পকেটে চা নিয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম পরিচিত কাউকে পাব। কিন্তু পরিচিতি এবং অপরিচিতজন সবাই র’নবীকে ঘিরে বসে আছে। তাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলাম।
অভ্যাস না থাকলে লেখালিখি হারিয়ে যায়। আর প্রদর্শণীতে না গেলে বুদ্ধিজীবি সমাজের সংগে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এই দু’টি বিষয়ের একটাও আমার কাম্য নয়। এই যেমন অনেক দিন পর লিখতে বসেছি। আসলে আবোল-তাবোল হলেও প্রতিদিন লেখা উচিত। ভাবছি। ভাবার প্রাকটিস করছি।