পদ্মা রিসোর্ট এবং একটি উৎসব (উৎসব উৎসব খেলা)

by nirjhar

সেইন্ট মার্টিন থেকে ঘুড়ি উৎসব শেষ করে ফেরার পরও সবার মধ্যে একটা উৎসবের রেশ। এই রেশ কাটাতেই আবার একটা ঘুড়ি উৎসবের পরিকল্পণা। এবারের স্থান ঢাকার কাছের মাওয়া। যেখানে আছে পদ্মা নদী। পদ্মার চরে আছে পদ্মা রিসোর্ট। সেই রিসোর্টে আমরা রওনা হলাম ২১মার্চ, ২০০৮।

padda resort

 

 

পদ্মা রিসোর্টের সামনের অংশ।

ছবিটি তুলেছিলাম হাটতে হাটতে।

 

 

 

মাওয়া পর্যন্ত গেলাম রিতিমতোন লক্কর ঝক্কর মার্কা একটা বাসে। তবে আমাদের সাথের মানুষগুলো খুব বেশী রঙিন। তাই বাসটির করুণতা কোন অংশেই গুরুত্ব পেল না। আমরা গাইতে গাইতে মাওয়া পৌছে গেলাম। সেখান থেকে ৫মিনিটের নোটিশে পদ্মার চর তথা পদ্মা রিসোর্ট।

চরে নেমেই মনটা ভালো হয়ে গেল। অনেক উজ্জ্বল একটি দিন ছিল। আকাশে ভাবুক ভাবুক উড়ু উড়ু মেঘ। নির্মল বাতাস। এতটাই নির্মল যে আমি সমীরন (যখন কোন বাতাস খুব বেশী প্রশান্তি দেয় আমি তাকে সমীরন বলি) বললাম। চরটির মধ্যে এক ধরনের বিস্তৃর্ণতা আছে। যেদিকেই তাকাই একটা হালকা সবুজাভ আচ্ছাদন। তার মাঝে কোথাও একটু একটু তাবু (রঙিন তাবু)। সবাই নানা রঙের ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত।

আমি আসলে মুগ্ধ রিসোর্ট দেখে। অনেক শান্তি দিল আমাকে। সবুজের মাঝে কাঠ ও খর দিয়ে বানানো ভয়ঙ্কর সুন্দর কিছু থাকার জায়গা। আছে সুন্দর খাবারের দোকান। যে কেউ চোখ বন্ধ করে পছন্দ করবে।

padda resort-inside

 

রিসোর্টর ভিতরের অংশ। এই রকম ঘাসের আচ্ছাদন পাওয়া যাবে পুরো রিসোর্টে। ঘরগুলি সব দোতলা। কাঠ দিয়ে তৈরি।

 

ছবিটি তুলেছি খাবারের ঘরের সিঁড়ি থেকে।

আমরা সারাদিন অনেক ঘোরাঘুরি করলাম। ফুটবল, ঘুড়ি, ক্রিকেট সব হয়ে গেল। দুপুরে খেলাম খোলা আকশের নীচে। লাইভ ইলিশ ভাজা, ইলিশের ঝোল আর সব্জি। ছড়ালাম অনেক ভাত। যেহেতু ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না, তাই চলে আসল হাজারো কাক। তবে ঢাকার কাকের মতোন সেই কাক আমার খারাপ লাগল না; উল্টো ভালো লাগল।

দিন শেষে রাত নামল। আমাদের যাওয়ার ডাক এল। সবাইকে যেতে হয়। তারপর আবার সেই যানজট, আবার সেই ধোঁওয়া, আবার সেই মিথ্যে কথার শহরে। ইটের পর ইট শুধু স্বপ্ন গুলো আন ফিট। এই শহরে রাতের আকাশে তারা দেখা যায় না। বড় কষ্ট লাগে।

You may also like

Leave a Comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00