ঘুম থেকে উঠেই কাগজ কলম নিয়ে বসেছি। হাটতাম অনেক। আড্ডা দিতাম। আবার লিখতাম। আবার আড্ডা। সময় টা ১৯৯৯। আমি তখন কুড়িগ্রাম। ঢাকায় আসার পরে প্রথম আলো তে লেখালিখি শুরু। প্রথম আলোর কাগজে লিখার পরে আবার সেটা কম্পোজ করতে দিতে হত কম্পোজ সেকসন এ। এই ঝামেলা এড়াতে সরাসরি কম্পিউটার এ লিখতাম। যদিও কম্পিউটার বেবহার করি ১৯৯৪ থেকে।
সেই সময়ে একটাই কিবোর্ড। বিজয়। সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি হাজার হাজার শব্দ লিখতাম বিজয়ে। এরপরে আসলো ইউনিকোড। যেহেতু ওয়েবে উপস্থিতি অনেক বেশি ছিলো, তাই অভ্র কে বেছে নিলাম নিজের করে। অভ্রতে বিজয় দিয়ে লিখতাম।
২০১০ এ সিদ্ধান্ত নেই ফোনেটিক এ লিখবো। প্রথমে অভ্র দিয়ে শুরু করলাম। এরপরে হাসিন ভাই এর স্ক্রিপ্ট, মোর্শেদ এর স্ক্রিপ্ট চেষ্টা করলাম। এরপরে যখন গুগলে বাংলা আসলো, গুগলে এ রয়ে গেলাম। মধ্য খানে কিছুদিন মাইক্রোসফট এর টা বেবহার করলাম। এই গবেষণা করতে গিয়ে এখন আমি না পারছি বিজয় দিয়ে লিখতে (ভুলে গেছি প্রায়) অথবা আগের মতন ঝড়ের গতিতে বাংলায় লিখতে। দুঃক্ষ এখান থেকেই শুরু।
এতদিন বিরতি দিয়ে আবার শুরু করলাম। এখন লিখছি গুগল দিয়ে। কারণ আমি গুগল সকল প্রডাক্ট (ওয়েব) ব্যবহার করার চেষ্টা করি। অনেক সমসসা পাচ্ছি। যেমন এখন পর্যন্ত দাড়ি দিতে পারছি না। তাই ফুল্ল্স্তপ বেবহার করে পরে ঠিক করতে হচ্ছে। তারপরেও চেষ্টা করছি। কারণ আমাকে বাংলা লিখতেই হবে। এবং বাকি জীবন ফোনেটিক ই ব্যবহার করতে চাই।
যেহেতু গুগল মেশিন লার্নিং প্রসেস এ চলে। তাই আশা করতেই পারি আগামী ১ বসরের মধ্যে আমি ঝড়ের গতিতে গুগল এ বাংলা লিখতে পারবো। কারণ আর কোনো উপায় নাই। হাতে আর বাংলা লিখতে পারি না।
1 comment
অনেক পুরাতন লেখা , আর আপনি লিখেছেন ” যদিও কম্পিউটার বেবহার করি ১৯৯৪ থেকে।” এই বেবহার টা হবে ব্যবহার । এটাও কি গুগল দিয়ে লেখার ফলে দাড়ির মত সমস্যা ? আর আমিও কিন্তু ফুলস্টপ দিয়েই দাড়ি লিখি 😛 ।