বাংলাদেশের খেলা আজকে। আমার বোন সাবধান করেছে আজকে যেন আমি জার্সি গায়ে না দেই। তার ধারনা আমি জার্সি পড়লে বাংলাদেশ হারবে। বাংলাদেশের খেলা বিষয়ক এই রকম অনেকগুলো মিথ আছে। যেমন আমি যদি খেলা নিয়ে বেশী আয়োজন করি (ধরেন কয়েক রকমের পিৎজা, চিকেন ফ্রাই, বার্গার এইসব) তাহলেও নাকি বাংলাদেশ হারে। যদিও বিগত কয়েকটি ম্যাচে এই মিথ ভুল প্রামাণিত হয়ে গেছে। এখন জার্সির মিথটা সত্যি কিনা তা আজকের ম্যাচে আমি প্রমাণ করতে চাই না। খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলা আজকে। আমার বিশ্বাস আজকে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো খেলবে।
খেলার এখনো প্রায় দুই ঘন্টা বাকী। আমি আয়েশ করে বসে আছি ইয়েলো ক্যাফেতে। খাবার অর্ডার করে এখন লিখতে বসেছি। আগেও বলেছি এই দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য এবারের বিশ্বকাপে ভালো করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা গল্প বলি:
২০০৬ সালে বাংলাদেশে পেইজফ্লেক্স নামের একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতাম। আমার কাজ ছিল ওয়েব সার্ভিসের ত্রুটি বের করা। এবং সব ঠিক ঠাক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা। যা সফ্টওয়্যার শিল্পে কোয়ালিটি এসুরেন্স ইঞ্জিনিয়ার নামে পরিচিত। বয়স কম ছিল। সেই তুলনায় অনেক টাকা মাইনে পেতাম। সবাই বেশ উৎসবমূখর পরিবেশে কাজ করতাম। আমাদের প্রডাক্ট ছিল ওয়েব স্টার্ট পেইজ। আমাদের প্রডাক্টটি ছিল গুগুলের আইজি, মাইক্রসফ্টের লাইভ.কম এবং নেটভাইবের মতো। গুগুল এবং মাইক্রসফ্ট অনেক বড়, আমরা সবাই এটা জানতাম। এবং প্রায় সময় দুষ্টামি করে বলতাম আমরা গুগুলএবং মাইক্রসফ্টের কমপিটিটর।
ঘটনা ঘটল (নাকি দুর্ঘটনা) ২০০৬ সালের শেষের দিকে। ওয়েবি এওয়ার্ডে আমরা মাইক্রসফ্ট এবং গুগুলকে পিছে হয়ে গেলাম সবার সেরা। গুগল এবং মাইক্রসফ্ট যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয়। গুগুল এবং মাইক্রসফ্ট কেমন ধাক্কা খেয়েছে জানতে পারি নি। তবে আমরা বিশাল ধাক্কা খেয়েছি। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে পৃথিবীর দুই টেক মোগলকে আমরা পরাজিত করে প্রথম হয়েছি!
সেই ঘটনায় আমাদের আত্মবিশ্বাস টইটুম্বর। এরপর আর কোন বড় টেক জায়ান্টকে ঠিক আর জায়ান্ট মনে হতো না। এখনো হয় না।
বাংলাদেশের জন্য এমন একটা ঘটনায় এখন বেশী প্রয়জন।
**//** ইয়েলো ক্যাফে, ধানমন্ডি, ঢাকা।