নতুন বছর টা শুরু হয়ে গেল, যদিও বাংলায় দিন ক্ষনের হিসেব রাখা হয় না। বাংলা মনে হল ৮ই ফাল্গুন অথবা ৭ই আষাঢ়। একটা ২১শে ফেব্রুয়ারী অননটা ২১শে জুনে, আমার জন্মদিন। তারপরেও প্রততেকবার একটা করে পহেলা বৈশাখ আসে। নববর্ষের শুভেচ্ছা অনেক দেরি করে দেয়া হল। শুভ নববর্ষ। যদিও এবার অনেক তিক্তটা দিয়ে শুরু হল বছর। কেন?
বছর শুরু হবার আগে আগে হঠাত্ ফোন “তুই কী তাঞ্জিকা কে বিয়ে করেছিস?” আমি আকাশ থেকে পড়ে হূস পাই না। আমি কেন তঞ্জিকা কে বিয়ে করতে যাব। এর পরের ফোনটা আরও ভয়ংকর। “তর কী কোনো পর্ণ বের হইছে?” আমি বললাম “খাইছে আমারে”। আমার এত নাম হবার কোনও দরকার নাই। পড়ে জানতে পারলাম অনেকেই আমাকে এনামুল করিম নির্ঝর ভেবে ভুল করছেন। আমি বাধ্য হয়ে ফেসবুক এ বড় করে একটা স্টেটাস দিলাম যে আমি সেই নির্ঝর না। আমি আহা’র ডিরেক্টর না। বিশাল বিড়ম্বনা দিয়ে শেষ হল এই অধ্যায়। নির্ঝর নামের উপর একটু রাগ ও হল।
কলেজ পর্যন্ত আমার নাম নির্ঝর ছিল না। একদিন কথা প্রসঙ্গে মা বললেন তোর ডাক নাম নির্ঝর রেখেছিলাম। কিন্তু তোদের বাড়ির লোকদের ভয়ে আর বলতে পরী নাই। আমার তখন কেবল বেকটিততো তৈরি হচ্ছে অন্যরকম। মার সেই না পাওয়া ইচ্ছাকে পূরণ করে দিলাম। আমার নাম অফিসিয়াল্লী নির্ঝর করে দিলাম। এখন সবাই আমাকে এই নাম এ চেনে। কিন্তু এই নাম এনামুল করিম নির্ঝর নয়। লুত্ফর রহমান নির্ঝর।
বছরের প্রথম দিনে একটু পাগলামি করে ফেললাম। সারাদিন ঘাটাঘাটি করে একটা অনলাইন রেডিয়ো বানিয়ে ফেললাম। পুরা লাইভ। রাতে এটার টেস্ট রান করলাম। এবং বরাবরের মতন আমার এক ননটেক বন্ধু এটাকে বিশাল কিছু ভেবে বছরের সেরা সৃজনশীল প্রতিভাবান খেতাব দিয়ে দিলেন। যদিও মজার, তারপরেও অনেক ভাল লেগেছে।
বসন্ত আসে বসন্ত যায়। এবার একটা বসন্ত চলে গিয়ে আর একটা গ্রীষ্ম চলে এল। প্রথম দিন কিছুই করলাম না তেমন। সরদিন বাসায়। সবাই রঙ্গীন রঙ্গীন কাপড়ে হেটে চলছে, দেখা হল না। শুধু আমার মেয়েকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্কাইপ আপডেট দিয়েছি। এখনো আছে সেটা। শুভ নববর্ষ রূপকথা মা!